গতকাল ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পহেলগামে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর সদস্য, কর্পোরাল টাজে হেইলিয়াং (৩০)। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন পহেলগামে। সেখানেই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় এই সাহসী সেনার। হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত অনেকেই।
এই বর্বর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতে।
টাজে হেইলিয়াং ভারতের অরুণাচল প্রদেশের তাজাং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। শ্রীনগরের বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন তিনি। ঘটনার পরে এক টুইটে অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু বলেন, ‘আমরা হারালাম অরুণাচলের এক বীর সন্তানকে।
হেইলিয়াং জাতির জন্য বীরত্বের সঙ্গে কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবারের নয়, গোটা দেশের অপূরণীয় ক্ষতি। এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই জঘন্য হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই আরও জোরদার হবে। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করি।’
পহেলগামে হামলার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে বৈঠক করেন। বর্তমানে পহেলগাম ও এর আশেপাশের এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান। সেনা, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে সেখানে।
কাশ্মীরের এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিশ্ব নেতারা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কাশ্মীর থেকে পাওয়া খবর অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ভারতের পাশে রয়েছি আমরা।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বার্তা দিয়ে জানান, ‘এই বর্বর হামলা ন্যায্যতার বাইরে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেখতে চাই আমরা। ভারত-রাশিয়া মিলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হবে।’
উল্লেখ যে, পহেলগামে এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন কয়েকদিন পরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অমরনাথে তীর্থযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। অমরনাথে যেতে হয় পহেলগামের পাশে দিয়ে।
এ ছাড়াও এই সময় ভারতে রয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তাঁর পরিবার। ফলে আন্তর্জাতিক মহলেও এই হামলা যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি